নব্য জেএমবির গোপন বৈঠক থেকে গ্রেফতার আইএসের বাংলাদেশি জঙ্গি

নব্য জেএমবির গোপন বৈঠক থেকে গ্রেফতার আইএসের বাংলাদেশি জঙ্গি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলায় বার্তা ছড়িয়ে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নাশকতার হুমকি দিয়েছে৷ বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে তারা তুলনায় গুলশন হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে তৎপর৷ ইতিমধ্যেই একাধিক মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷

তেমনই পরিস্থিতিতে সৌদি আরব থেকে আসা এক আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল৷ জানা গিয়েছে বাংলাদেশি এই নাগরিক সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের হয়ে লড়াই করেছে৷ তার সঙ্গে নব্য জেএমবি সংগঠনের যোগসূত্র মিলেছে৷

গ্রেফতাকৃতর নাম মুতাজ আব্দুল মজিদ কফিল উদ্দিন বেপারি ওরফে মুতাজ৷ বাংলাদেশি হলেও তার বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে৷ সম্প্রতি মুতাজ বাংলাদেশে আসে৷ তার কাছ থেকে সৌদি পাসপোর্ট ও জিহাদি বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷

জঙ্গি দমন শাখা সিটিটিসি সূত্রে খবর, ধৃত জঙ্গির কাছে সৌদি আরবের ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি আইফোন, ‘কাফিরের জন্য রক্ত আপনার জন্য লাল’ শিরোনামে আইএসের ম্যাগাজিন রুমিয়াহ’র বাংলা অনুবাদ, ‘খিলাফত ঘোষণা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের ছয় পাতার নিবন্ধ জব্দ করা হয়েছে৷

সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের পতন শুরু হলে অন্যদের মতো মুতাজ পালিয়ে আবার তুরস্কে ফিরে যায়। সেখান থেকে সে গ্রিস হয়ে অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তুরস্কের জঙ্গি দমন অভিযানে তার যাওয়া আটকে যায়৷ পরে তুরস্ক থেকেই সৌদি পাসপোর্ট নিয়ে মুতাজ গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসে৷

তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত মুতাজ বাংলাদেশে এসে নব্য জেএমবি সগংঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ তাদেরই একটি গোপন বৈঠক চলাকালীন জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হয় ঢাকার উত্তরা এলাকা৷

সেখানেই ধরা পড়ে মুতাজ৷ বিদেশে থেকে আসা বাংলাদেশিদের একাংশ আইএসে জড়িত এই রিপোর্ট আগেই দিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ৷ গুলশন হামলার মাস্টার মাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তামিম চৌধুরী ওরফে ‘বাংলার বাঘ’ আইএস জঙ্গি হয়ে সিরিয়া-ইরাকে ছিল৷

পরে বাংলাদেশে ফিরে এই কানাডিয়ান নাগরিক ধর্মীয় শাসন (খিলাফত) প্রতিষ্ঠার জন্য নাশকতার পরিকল্পনা করে৷ ঠিক সেই রকমই পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল মুতাজ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়৷ সেই নাশকতার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট৷ তদন্তে উঠে এসেছে, স্থানীয় ইসলামিক সংগঠন এনটিজে এই নাশকতায় সরাসরি জড়িত৷ তারপরেই গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, নতুন করে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা৷ ঈদ উৎসব ও রমজান চলাকালীন ২০১৬ সালে যেমন গুলশন ক্যাফে হামলা হয়েছিল সেই রকমই নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন৷ সূত্র:কলকাতা ২৪x৭

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৭   মে ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply